হেলাল হোসেন কবির: রাস্তা দেখলে বুঝা যায় না যে এটি স্বপ্নের দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর যোগাযোগের প্রধান সড়ক। ৪টি (আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর সড়ক এখন জনগণের মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির কারনে তিস্তা নদীতে পানিও বেড়ে যায়। সেই পানির প্রবল স্রোতে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের বাড়াই পাড়া এলাকায় কাকিনা-রংপুর সড়কটি প্রায় ৩শত মিটার রাস্তা ধ্বসে যায়, সেই ধ্বসে যাওয়া অংশে দিন দিন মরন ফাঁদ তৈরি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যেন দেখার কেউ নেই!
লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার মানুষের রংপুর শহরে যোগাযোগ করার জন্য সহজ রাস্তাটি যেন এখন জীবন মরণের সীমানা হয়ে গেছে। সেই সাথে এই এলাকার জরুরী রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলোর কোনো না কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সকলের দাবি দ্রুত সড়কটি মেরামত করা।
সেই এলাকার রাবেয়া বেগম জানান, হামরা সাগাই বাড়ি বেড়াতে গেছিনো সেটে থাকি খবর পাইনো হামার বাড়ির সাথে রাস্তা হুরমুর করি ভাঙ্গি য্যায়া হামার নৌকা ডুবি গেছে, তারপর থাকি মানুষগুলাোর চলাচলের খুব কষ্ট হইছে, মন্ত্রীও তো এই রাস্তা দিয়া যায়, কেমবা ঠিকই করেনা।
নাটু মিয়া জানায়, যখন মানুষ এখান দিয়া চলাচল করে তখন বুকখান ধুরফুর করে, কখন বা কি হয়।
বেলাল হোসেন জানান, কি আর কই হামরা, এতোদিন থাকি এমন হয়া আছে কোনমতে মানুষ গাও খ্যাশি চলাচল করে তাও ত ঠিক করে না।
তাদের মতো আরও অনেকে সেই প্রতিক্রিয়া জানান, স্বপ্নের দ্বিতীয় তিস্তা সেতু নির্মাণ ও রাস্তার কাজ অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে এ রকম ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বারবার। কেননা এর আগেও পানির স্রোতের কারনে এই সড়কপথে এক জায়গায় ছেড়ে গেছিল। মূলত যখন এসব কাজ হয়েছে তখন কর্তৃপক্ষ দূর্নীতি করেছিল তার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য দুটি প্রাক্কলন রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে প্রাক্কলন অনুমোদন হলে টেন্ডার লালমনিরহাট থেকে রংপুরগামী আহ্বান করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।